এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ হাঁটি হাঁটি পা পা করে ধীর গতিতে জলাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের মনের মন্দিরে স্থান করে নিয়েছে আপন মহিমায় বাবু বিশ্বজিৎ হালদার ।স্বরূপকাঠি উপজেলার ৫ নং জলাবাড়ী ইউনিয়নের নির্বাচনী আমেজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে স্ব স্ব প্রার্থীরা। যদিও সময় বেশী নেই তাই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইউনিয়ন নির্বাচনে আগামীর মিশন শুরু করে দিয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষের ভালবাসা নিয়ে।বসে নেই বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু আশিষ বাড়ালও। যদিও আগামীর নির্বাচনের জন্য আশীষ বড়াল নানান রকম বিতর্কিত কাজ কর্ম করে জনতার আদালতে ইমেজ সংকটে পড়েছে। শক্ত প্রার্থীর তালিকা থাকায় এবারের ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন হবে কঠিন থেকে কঠিনতর। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে আগামীর নির্বাচন যুদ্ধে। সকল প্রার্থীদের জন্য নৌকার টিকেট পাওয়ার। অবশ্য সকল বিষয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইতিমধ্যে বহু সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দুয়ারে দুয়ারে আসা যাওয়া শুরু করে দিয়েছে। তবে সময়ের সাথে সাথে শান্তিপ্রিয় জনতা সহ সাধারণ মানুষের নিখাঁদ ভালবাসা নিয়ে জলাবাড়ীর চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে বিশ্বজিৎ হালদার খোকন নানান কায়দায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৫ মার্চের করোনার দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সহ সকল বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে একটা চমৎকার ইমেজ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন মাঠ পর্যায়ে। আর হ্য আমরা প্রিয় পাঠকদের জন্য জলাবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে গনপতিকাঠীর স্থায়ী বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিক বাবু বিমল হালদারের সুযোগ্য পুত্র বাবু বিশ্বজিৎ হালদারের কথা বলছিলাম । সদালাপী ও মিশুক স্বভাবের শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাবে একটা বিশেষ কদর রয়েছে সমগ্র এলাকায়। হিঃসা বিহীন একজন সাদামাটা নেতা হয়ে সকলের মনের মন্দিরে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জলাবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে স্বল্প সময়ের জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে একটা মিনি জরিপ চালিয়ে কিছু সময় উপযোগী তথ্য সংগ্রহ করেন। স্থানীয়া বহু লোকজন নাম না প্রকাশের শর্তে মিডিয়াকে জানান, আসলে আমরা পরিবর্তনের আশায় নুতন মুখের প্রার্থী নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছি। আমরা পরিবর্তন চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের পক্ষে সুন্দর সমাজ ব্যাবস্থার। আসলে জলাবাড়ীর বেশীরভাগ লোকজন পরিবর্তনের জন্য মাঠে নেমেছে আটঘাট বেধে। তবে ভিন্ন কথা বলেন বেশ কিছু লোকজন। তাদের দাবী আমরা বরাবরই মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যোগ্য নেতৃত্বে দেওয়ার মত সাহসী প্রার্থী চাই। হোক সে বিশ্বজিৎ হালদার কিংবা শান্ত মজুমদার চন্দন অথবা মোঃ খলিলুর রহমান। অবশ্য এলাকার গিয়ে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু বিশ্বজিৎ হালদারের সাথে কথা হয় জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। তিনি অকপটে স্বীকার করেন বর্তমান সময়ে সমাজ সেবা করা কঠিন কাজ। অথচ তারপরও অতি মাত্রায় সাহস নিয়ে জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তিন আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি ইউনিয়ন মসনদে বসার জন্য নয় বরং সাধারণ মানুষের জন্য সেবা করতে প্রস্তুত। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি বিগত সময়ের শীত মৌসুমে গরীব পরিবারের জন্য কম্বল বিতরণ সহ এলাকায় ফলজ গাছ বিতরণ করেছি। পাশাপাশি অসহায় ও দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিয়েছি। আর এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আমি যদি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমার পরিষদে কোন অসহায় মানুষের জিম্মি হবে না। জন্ম সনদ সহ সকল প্রকার সেবা সহযেই পাবে।সর্বশেষ পর্যায়ে আমি মাননীয় মন্ত্রী এ্যাডঃ শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ নিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে কাজ করে যেতে চাই।
Leave a Reply